শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন

১২ শিক্ষক কেন ডিবি কার্যালয়ে

১২ শিক্ষক কেন ডিবি কার্যালয়ে

স্বদেশ ডেস্ক:

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনত্যম তিন সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারের খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের ১২ শিক্ষকের একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে যান তারা।

শিক্ষকদের এ প্রতিনিধিদল ডিবি কার্যালয়ে ২০ মিনিটের মতো অবস্থান করেন। তবে ‘ব্যস্ততা’র কারণে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ তাদের সঙ্গে দেখা করেননি। পরে ডিবি কার্যালয় থেকে চলে যান শিক্ষকরা।

১২ সদস্যের এ শিক্ষক প্রতিনিধিদলে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অরণি সেমন্তী খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সাইমুম রেজা, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষক অলিউর সান ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার শিক্ষক তামারা মাকসুদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে উদ্বিগ্ন হয়ে আমরা সেখানে যাই। মিডিয়া থেকে আমরা জেনেছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্রকে হাসপাতাল থেকে ‘‘অধিকতর নিরাপত্তার’’ জন্য এখানে নিয়ে এসেছে। হাসপাতাল থেকে কেন এখানে আনা হলো, সেই খবর নিতেই আমরা এসেছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, ‘তারা আমাদের শিক্ষার্থী। তাদের চিকিৎসা থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়েই আমরা উদ্বিগ্ন। এটা আমাদের দায়িত্ব। সে কারণেই আমরা খোঁজ নিতে এসেছি। নিরাপত্তার অভাব হলে আমাদের জিম্মায়ও দিতে পারতেন। আমাদের দাবি হলো, শিক্ষার্থীদের নিরাপদে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। সেখানেও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।’

অভিযোগ করে এ শিক্ষক বলেন, ‘তিনি (হারুন অর রশীদ) তো আমাদের সঙ্গে দেখাই করলেন না! এটা অত্যন্ত অভদ্রতাসূচক কাজ হয়েছে বলে আমি মনে করি। এখানে আমরা ১২ জন শিক্ষক এসে দাঁড়িয়ে আছি, তার দেখা করার সময় হলো না। সেটা তিনি ভদ্রভাবে আমাদের জানাতেও পারলেন না, এটা ঠিক হয়নি।’

এর আগে আজ দুপুরে নিজ কার্যালয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে আমরা গতকাল রাতে এনেছি। বিভিন্ন জায়গায়, ফেসবুকে তারা নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছিলেন। তাদের একজনের বাবাও নিরাপত্তাহীনতার কথা বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ করছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে এটাও আমাদের দায়িত্ব—কেউ যদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা অন্য কোথাও নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে, তাকে সেফটি-সিকিউরিটি দেওয়া। আমরা তাদের সেফটি-সিকিউরিটি দিচ্ছি।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877